আজ রবিবার, ৭ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২২শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

হেড মাস্টার বললেন ‘বিষ খাও’!

সংবাদচর্চা রিপোর্ট
এসএসসি পরীক্ষার টেষ্ট পরীক্ষায় অকৃতকার্য ছাত্রী ও তাদের অভিভাবকে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ উঠেছে বন্দর গালর্স স্কুলের প্রধান শিক্ষক বদরুজ্জামানের বিরুদ্ধে। ২৭ নভেম্বর (বুধবার) দুপুরে স্কুলের বাইরে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা এ অভিযোগ করেন।

ছাত্রীরা বলেন, পরীক্ষায় ফেল করাতে প্রধান শিক্ষক বলেছেন, যাও ছাদ থেকে পরে মরে যাও। বিষ কিনে দেই বিষ খেয়ে মরে যাও। প্রধান শিক্ষক আরও অনেক খারাপ কথা বলে গালমন্দ করেছেন। আমরা তার পায়ে ধরে অনুরোধ করতে গেলে তিনি তখন চর থাপ্পর ও ধাক্কা দিয়ে বের করে দেন। ছাত্রীরা আরও বলেন, আমাদের অভিভাবকরা প্রধান শিক্ষকের বাসায় গিয়ে তার কাছে অনুরোধ করলে তিনি তাদের সাথেও অসদ আচরণ করেন।

একাধিক অভিভাবক জানান, প্রধান শিক্ষকের পায়ে ধরে অনুরোধ করেছি। তখন তিনি বলেন মেয়েদের পালতে না পারলে বিষ খাইয়ে মেরে ফেলো। ওই সময় প্রধান শিক্ষকের স্ত্রী আমাদের অকথ্য ভাষায় গালমন্দ করে জুতো ছুড়ে মারেন।

তবে সব অভিযোগ মিথ্যা দাবি করে প্রধান শিক্ষক বদরুজ্জামান জানান, তিনি অভিভাবকদের সাথে খারাপ ব্যবহার করেননি। মারধর তো প্রশ্নই আসে না। তিনি আরও জানান, তারা বার বার এসে বিরক্ত করছিলো।

স্কুলের গভার্নিং বডির সদস্য এডভোকেট পাবেল খান জানান, ২০২০ সালের এসএসসি পরীক্ষার জন্য টেষ্ট পরীক্ষা নেয়া হয়েছে। সেই পরীক্ষায় অকৃতকার্য হয়েছে ২৭ জন ছাত্রী। তাদের বিষয়ে স্কুল কমিটি ও শিক্ষকবৃন্দ সিদ্ধান্ত নেয়। এর পর থেকে ওই ছাত্রীদের অভিভাবকরা আমার কাছে ও প্রিন্সিপালের কাছে বার বার অনুরোধ করছে তাদের সুযোগ দেয়ার জন্য। তিনি আরও জানান, অকৃতকার্য ছাত্রীদের তালিকা জেলা প্রশাসকের কাছে পাঠানো হয়েছে। গভার্নিং বডির এই সদস্য আরও জানান, সোমবার সন্ধায় অভিভাবক ও ছাত্রীরা প্রধান শিক্ষকের দ্বারা লাঞ্চিত হওয়ার অভিযোগ করেছেন আমাদের কাছে। তবে বিষয়টি সত্য কিনা তা আমরা জানি না। তবে যদি জেলা প্রশাসন এই বিষয়ে বিভাগীয় তদন্ত করে তাহলে সত্য ঘটনা জানা যাবে।

এ বিষয়ে বন্দর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আ.ক.ম নুরুল আমিন জানান, অকৃতকার্জ শিক্ষার্থীদের পরীক্ষার ফরম ফিলাপের সুযোগ নেই। তবে ছাত্রী ও অভিভাবকদের লাঞ্ছিত করার ঘটনাটি তদন্ত করা হবে।